সিসি ক্যামেরার সমাধান এখানে!

আপনার বাসা, অফিস এবং ব্যবসার নিরাপত্তায় সবচেয়ে সেরা পছন্দ।

খাঁটি, সুস্বাদু প্রাকৃতিক মধু ও গুড়

"আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের সঙ্গী!

প্রত্যেক নারীই স্বভাবজাত চায় তার স্বামী তার কথা শুনুক

প্রত্যেক নারীই স্বভাবজাত হিসেবে চায় তার স্বামী তার কথা শুনুক, প্রতিটা কাজ তাকে জানিয়ে করুক এবং স্বামীর টাকা-পয়সা তার কাছেই গচ্ছিত রাখুক যেন সে সংসার চালাতে পারে নিজ রুচি অনুযায়ী।

 

এই ইচ্ছা থাকা সত্বেও বেশিভাগ নারী কিন্তু ব্যর্থ হয় এটা বাস্তবায়ন করতে। সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে তাদের সাথে যারা স্বামীর জন্য কোন রিস্পেক্ট রাখে না, ছোটখাটো বিষয়ে তুলকালাম কান্ড করে বসে , ক্ষনিকেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করে সংসারে অশান্ত সৃষ্টি করে। 
 
প্রতিনিয়ত তারা স্বামীর সাথে ঝগড়া করে কাপড়-চোপড়, অর্নামেন্টস(গহনা)নিয়ে।এতকিছুর পরেও তবুও আশা করে স্বামী তাদের কথামত চলবে।

এই ধরনের নারীরা শুধুমাত্র তার স্বামীর সুখ বিনষ্টকারী হয়না বরং স্বামী এবং স্ত্রী উভয় পরিবারের অশান্তির কারণ হয়।
কেউ হয়তো না জেনে এমন ভুল করে, কেউ জেনেও করে। যারা আন্তরিকভাবেই চায় স্বামী তাকে সবচেয়ে গুরুত্বের জায়গায় স্থান দিক, তারা ২টো প্র্যাক্টিক্যাল টিপস ফলো করতে পারে। ইন শা আল্লাহ, কোন খাজাবাবার কাছে তাবিজের জন্য যেতে হবে না, এই ২টা তাবিজ হৃদয়ে ধারণ করলে সংসারের অশান্তি, কলোহল সব দূর হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।


*** স্বামীকে ভালবাসতে শিখুন:-

স্বামীকে ভালবাসতে শিখুন। হতে পারে আপনার স্বামী আপনার দৃষ্টিতে অগোছালো, আন-স্মার্ট কিংবা অভদ্র। তবুও তার হাত ধরে আপনি চাইলেই তাকে আপনার মন মতো মানুষে পরিণত করতে পারেন। অসংখ্য উদাহরণ আছে যেখানে স্ত্রী তার স্বামীর মাঝে দারুণ ভাবে অনেক চেঞ্জ আনতে পেরেছে। 
 
আসলে ধৈর্যশীল নারীর জন্য কোন সমস্যা বাধা হয়ে থাকতে পারেইনা। আপনি যদি চান আপনার স্বামীর খারাপ অভ্যাস গুলো বদলে তাকে নেককার একজন মানুষে পরিণত করতে, তবে অনন্য একটা পদ্বতি হচ্ছে বাসায় প্রতিদিন তালীম করা হাদীস থেকে। প্রথম প্রথম হয়তো সে বসতে রাজি হবে না, ভয়ের কিছু নেই, অন্তত এমন ভাবে পড়ুন, যেন সে পাশের রুমে থাকলেও শুনতে পায়। এইভাবে ধীরেধীরে তার অন্তরে ওহির বানীর তাসীর(প্রভাব) পরা শুরু করবে, সমস্ত খারাপ অভ্যাস চলে যাওয়া শুরু করবে আর ভাল কাজ করার জন্য সে উদ্বুদ্ধ হবে ইন শা আল্লাহ। 
 
এটাও স্মরণ থাকা উচিত যে, আপনার স্বামীর পছন্দের দিক খেয়াল রেখে তাকে অনেক বেশি খিদমত করুন, যেটা হয়তো আপনার কাছে নিতান্ত ছোট ব্যাপার, কিন্তু এই ছোট একটা খিদমত দিয়েই আপনি তার হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নিতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
যখন একজন নারী তার স্বামীকে আন্তরিকভাবেই ভালবাসে আর খিদমত করে, এটা অসম্ভব হয়ে পরে স্বামীর জন্য তার স্ত্রীকে ছেড়ে দূরে থাকা।
 
*** হৃদয় জয় করুন:-

স্বামীর হৃদয় জয় করার জন্য একজন স্ত্রীর শুরুতেই জানা উচিত তার স্বামী কী পছন্দ করে আর কী অপছন্দ করে। এটি জানা অত্যন্ত জরুরী কী কাজ তার মন ভালো করতে পারে সহজেই।

স্ত্রীর উচির স্বামীর পছন্দের খাবার জেনে তা রান্না করে মহব্বতের সাথে তাকে পরিবেশন করে খাওয়ানো, এখানে একটা ব্যাপার অত্যন্ত জরুরী, সেটা হলো খাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কতটা আন্তরিকতার সাথে সেটি তার সামনে প্রেজেন্ট করছেন, কতটা মহব্বতের সাথে রান্না করে তাকে খাওয়াচ্ছেন।

আর একেক পুরুষ একেক ধরনের পোষাক পছন্দ করে, আপনি আপনার স্বামীর পছন্দকেই প্রাধান্য দিয়ে সেভাবে নিজেকে সবসময় পরিপাটি করে রাখবেন। তবে সাবধান, শরীয়ত বিরোধী কোন ড্রেস পরে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।

অত্যন্ত দু:খজনক হলেও এটি সত্য যে, অনেক নারী খুব আকর্ষনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী হলেও তারা স্বামীকে আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। এর কারণ হল সৌন্দর্য, সম্পদ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা যথেষ্ট নয় স্বামীকে নিজের করে পাওয়ার জন্য।

যেটি প্রয়োজন সেটি হলো নিজের স্বামীকে মনঃপুত করতে পারার শৈল্পিকতা জানা। জানতে হবে কিভাবে স্বামীর মনযোগ আকৃষ্ট করতে হয়।এটি একটা শিল্প। এই শিল্প জানতে হয়, শিখতে হয়, এটাকে নিয়ে ব্যক্তিগত পড়াশুনা করতে হয় আর পরিশেষে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়।
 




   আব্দুর রহমান মুয়া'জ
ফাউন্ডার
আসলাফ এরাবিক একাডেমি


 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.