ওভার অল এভারেজ যদি চিন্তা করেন, অবশ্যই তার বিএফ, আজকাল বিএফের থেকেও জাস্টএফরা বেশী পায়।
ঠিক তেমনি একটা ছেলে একটা মেয়েকে পটানোর জন্য যতরকম আবেগ বিবেক নষ্ট করে কৌতুহলের শেষ সীমায়ও চলে যায় - এরপর যার সাথেই বিয়ে হোক এদের উভয় প্রকার কি নিজেদের সাথে বেস্ট টাইমটা কাটাতে পারবে? কারণ ছেলেটা তার সব কৌতুহল খুইয়েছে। আর মেয়েটাও ছেলেদের সব মুভ বুঝে, তার নতুন কিছু চেনার নেই, বুঝার নেই, জানার নেই - বরং সে সাবধান - তার আবেগ আর আগের মত কাজ করে না। এরকম পরিবারের পরিণতি কি বলেন তো? যদি অর্থনৈতিক স্ট্যাবিলিটি না থাকে, বা অন্যকোন স্বার্থ বা উপায়হীনতা - এরকম বিয়ে ভেঙে যাবে এবং যাচ্ছে। যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও আসলে রোবট লাইফ।
এই মহামারিটা শুরু হয়েছে লাস্ট ১০- ১৫ বছর ধরে। কারণ প্রেম করা - আবেগে ভেসে বিবেক খুইয়ে ফেলা এই সময়টাতে খুব সহজ হয়ে গিয়েছে৷ আমাদের বাপ-মায়ের জেনারেশন দেরীতে বিয়ে করলেও সহজে প্রেম করার সুযোগ ছিল না বলে, বিয়ের পর নর-নারীরা একে অপরের বৈচিত্র্যকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছে। কিন্তু এখন?
নর-নারী উভয়ই একে অপরকে সন্দেহ করে। কারণ তো আছে। ২০ না পেরুতেই দেখবেন যে মেয়েরা সব ব্রোকেন। এখনই তারা ছ্যেঁকা খেয়ে বসে আছে। আর ছেলেদের ধ্যান-জ্ঞান এমন যেন যে কে কয়টা শিকার করতে পারে। পড়ালেখা করার টাইম আছে?
ফ্রি-মিক্সিং এর প্রথম সুযোগটা পড়াশুনার নামেই আসে। আর এখন তো সাথে অনলাইন আছেই। এগুলো ফ্যাক্ট কেউ অস্বীকার করলে তার সাথে তর্কে জড়ানো উচিত না। সে উটপাখি হিসেবেই ঠিক আছে।
এই ইস্যুতে অনেক লেখালোখি হয়েছে। কিন্তু আবারো লিখছি - কারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেয়া উচিত। কারণ ইনসান হলোই এমন যে সে ভুলে যায়।
একাডেমিক পড়াশুনার দোহাই দিয়ে নর-নারী উভয়ের বিয়েকে অহেতুক দেরী করানোর বিপরীতে দ্রুত বিয়ে নিয়ে অনেকেই সোচ্চার। কিন্তু যখনই নারীর উচ্চ শিক্ষা বনাম তার বিয়ে সংসারের কথা আসে, তখন অনেককেই হোচট খেতে হয় এবং ব্যালেন্স করা কঠিন হয়ে যায়।
যেমন নারী ডাক্তার বা নারীই লাগবেই এরকম অনেক কাজের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এর উত্তর খুব সিম্পল ইসলামে। যে কাজ জরুরী, সেটা অর্জনের জন্য যথেষ্ট লোক তা আদায় করলেই হবে। দ্বীন ও দুনিয়ার ফরজ ইলমের পরও কেউ যোগ্য হলে সে সেই কাজে নর-নারী ভেদে এক্সপার্টিস অর্জন করতে পারে। কিন্তু ইসলাম কোন কর্পোরেট সিন্ডিকেটের এজেন্ডা মাথায় রেখে পলিসি মেইক করতে বলে না, বলে আখিরাত এবং দুনিয়া মাসলাহা-মাফসাদা মাথায় রেখে কুরআন-সুন্নাহ থেকে। অপরদিকে পুঁজিবাদ অবশ্যই প্রথমেই কর্পোরেট সেক্টরে চীপ লেবার যেমন নারীরা এবং হাই ভ্যালু কনসিউমার যেমন নারীরা - এদের উসকানী দিবেই। এই স্ট্র্যাটেজিটা আপনাদের বুঝতে হবে।
সমস্যা হল প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা এরকম কর্পোরেট দাস হবার মানসিকতাই পুশ করে৷ আপনি যে অল্টারনেটিভ শিক্ষার কথা বলবেন, সেটাও কঠিন। কারণ তখন প্রথমে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতাকে বানিয়ে দেয়া হবে যে আপনি শিক্ষা বিরোধী, নারীশিক্ষা বিরোধী, আধুনিক শিক্ষা বিরোধী। তারপর যখন অল্টারনেটিভ শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলবেন, তখন বলা হবে ধান্দাবাজ, হিপোক্রেট। কারণ আপনি শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আবার নিজে শিখাতে চাচ্ছেন।
উদাহরণ সরূপ, স্যামসাং এ্যাপলের আইফোনকে সুযোগ পেলেই মক করে। এর মানে কি স্যামসাং স্মার্টফোন অস্বীকার করে? স্যামসাং যখন নিজেদের স্মার্টফোন গ্যালাক্সি কিনতে বলে, এর মানে কি ধান্দাবাজি? কই কখনো তো বলতে শুনি নি, বরং সবাই এই মকারি উপভোগ করে। এ্যাপল নিজেই এসব শুরু করসিলো মাইক্রোসফটকে মক করে করে।
তো দুনিয়ার দুইটা কম্পানির প্রোডাক্টের যুদ্ধ তো ঠিকই বুঝেন। তো আখিরাতের সাথে সম্পর্কিত - আপনার পরিবারের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে দুইটা আদর্শ এবং দুইটা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে ডাকার ক্ষেত্রের যুদ্ধটা কেনো বুঝেন না? কেনো সঠিক পক্ষ বুঝে নিয়ে তাদের আর্গুমেন্ট আরো সফিস্টিকেটেড করছেন না, উল্টো ভুল পক্ষে থেকে নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়ছেন? ভাবছেন যে, খুব জাতে উঠা হলো, হাহ?
সংগ্রহীত