আসসালামু আলাইকুম
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ফেইক আইডি দিয়ে পোস্ট করার জন্য ও পোস্ট বড় হতে পারে সেজন্য।
আমার বয়স ২৪+। বিয়ের আগে থেকেই আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা তা হলো অনিয়মিত পিরিয়ড। ২০১২ সালে আমার প্রথমবার যখন পিরিয়ড হয় তখন থেকেই অনিয়মিত। শত শত ডাক্তার দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি। এখনো হচ্ছে না। পিরিয়ড হওয়ার আগে থেকেই আমার কিছু সমস্যা ছিলো যেমন ঘুমানোর পর হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেতো পরে যখন আবার ঘুমাতাম তখন শরীর অবশ হয়ে আসতো আর মনে হতো আশেপাশে অনেক চিল্লাচিল্লি হচ্ছে, কেউ আমাকে ডাকছে, ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর হচ্ছে কিন্তু আমি শরীর নাড়াতে পারতাম না। তখন মনে মনে সূরা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতাম, এমনটা প্রায় সময় হতো। বেশিরভাগ ভোর সকালে হতো, বিকালে ঘুমালেও হতো। তখন ছোট ছিলাম বুঝতাম না এমনটা কেন হচ্ছে। তখন আম্মুকে এই বিষয়টা বলি, বলার পর আম্মু উনার পীরের কাছে বলে তখন উনি বলেন ঘুমানোর আগে মাথায় তিন কোষ পানি দিয়ে দোয়া দরুদ পড়ে ঘুমাতে।
বলে রাখি আমার পরিবারের সকলে পীর ভক্ত ও মাজার বিশ্বাসী মানুষ। আমার মা বাবা পেশাগতভাবে শিল্পী জগতের মানুষ। সারাজীবন গান বাজনা নিয়েই পরে থাকে।
কিন্তু আমি তাদের থেকে আলাদা স্বভাবের। আমি এসব পছন্দ করি না। আমি চাই পরিপূর্ণ দ্বীনের পথে চলতে কিন্তু আশেপাশের পরিবেশ ও নফসের ধোঁকায় বারবার ছিটকে যাই।
যাইহোক এরপর আমি উনার বলা নিয়মটা ফলো করি কিছুদিন তখন ছোট ছিলাম বুঝতাম না হালাল /হারাম, শিরক কোনটা তাই উনাকে বিশ্বাস করতাম। এরপর আস্তে আস্তে আমার এই সমস্যাটা কমতে শুরু করে। এর মাঝে একদিন আমার ভোর ৬টায় ঘুম ভাঙে, পরে চোখ বন্ধ করে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম এর মধ্যেই হঠাৎ উপর থেকে আমার কপালে ১ফোটা রক্ত পরে, সাথে সাথে কপালে হাত দিয়ে দেখি টাটকা রক্ত তাও অনেক বিশ্রী গন্ধ। উপরে তাকিয়ে দেখি রক্ত পরার মতো কিছুই নেই। এরপর আরেকদিন ভোর সকালেই টয়লেটে বালতির চারপাশেও দেখি ফোটা ফোটা রক্ত। আবার স্বপ্নে তখন পরিত্যক্ত বাড়ি দেখতাম, বাড়িতে অনেক খারাপ আত্না আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করতো, বড় নদীতে আমি স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছি, অচেনা লোকের সাথে সহবাস করছি,কিন্তু বেশিরভাগ দেখতাম আমার আব্বুর সাথে এমনটা করছি ( নাউজুবিল্লাহ) তখন খুব খারাপ লাগতো যে এসব কি ধরনের স্বপ্ন দেখি আমি। আর এই স্বপ্ন তখনই দেখতাম যখন আমি ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমাতাম। এখনো মাঝে মাঝে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমালে এমন খারাপ স্বপ্ন দেখি। এরপর আরও অনেক আজেবাজে স্বপ্ন দেখতাম যা মনে নেই এখন।তখন আমার হারাম সম্পর্ক ছিল আমার স্বামীর সাথে। উনার সাথে ১২বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিন্তু আমি ঢাকায় আর উনি আমাদের গ্রামে থাকতো তাই বেশিরভাগ ফোনে কথা হতো। এর মাঝে আমাদের ব্রেকআপ হয় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। তখন ১বছর উনার সাথে সম্পর্ক ছিলো না।
আমি অনেক কান্নাকাটি করতাম তা দেখে আমার আম্মু অনেক কষ্ট পেতো। পরে আম্মু নাকি আমাকে অনেক তাবিজ করে যেন আমি তাকে ভুলে যাই।কিন্তু তাবিজ কাজ করেনি এমনটা আম্মু পরে নিজেই আমাকে বলে। এরপর আম্মু একদিন বলে এমন এক ধরনের তাবিজ করবে যেন সে আমার কাছে ফিরে আসে।প্রথম আমি রাজি হইনি কিন্তু পরে রাজি হই। কিন্তু সে তাবিজও কাজ করেনি।
এরমাঝেই আমি হেদায়েত পাই ২০১৬ সালে। তখন ছিলো আমার জীবনটা আল্লাহর রহমতে ভরপুর। তখন আর খারাপ স্বপ্ন তেমন দেখতাম না। স্বপ্ন দেখতাম আকাশে আরবি কি যেন লেখা ভাসছে কিন্তু আমি তা পড়তে পারছি না। এই স্বপ্ন আমি অনেক বার দেখেছি। তখন আমি আরবি পড়তে পারতাম না। আমি আগেও কুরআন পড়া শিখেছি কিন্তু ভালোভাবে শিখতে পারিনি।যখন স্বপ্নটা দেখতাম তখন স্বপ্নের আরবি লেখাটা বোঝার আগ্রহ থেকে আমি আবার নতুন করে কুরআন পড়া আস্তে আস্তে শিখি কিন্তু এরপর আর স্বপ্নটা দেখিনি। এরকম আরো অনেক ভালো স্বপ্ন দেখতাম যেমন: আমি নামাজ পড়ছি, নামাজরত অবস্থায় সামনে দিয়ে বিড়াল যাচ্ছে ইত্যাদি। কিন্তু আমি ছিলাম অবুঝ। আমার হেদায়েতটাকে আমি আমার হারাম সম্পর্ক কন্টিনিউ করার হাতিয়ার বানাই। আমি তখন বিভিন্ন আমলসহ, তাহাজ্জুদ নামায পড়ে আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাইতাম। ২মাসের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক আবার শুরু হয় আর আমিও এর মাঝে আস্তে আস্তে আমার হেদায়েত হারাতে থাকি। সম্পর্ক শুরু হওয়ার পরপরই উনি বিদেশে চলে যায় এবং আমাদের ফোনে প্রেম চলতে থাকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তারপর আমাদের বিয়ে ঠিক হয় । বিয়েতে আমার শাশুড়ী, ভাসুর,ননাস কেউ রাজি ছিলো না কারণ আমি ছিলাম আমার শাশুড়ীর সৎ ননদের মেয়ে এবং আমার মা ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু।তাই তারা কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিলো না।
এরপর আমি একদিন স্বপ্নে দেখি একটা খালি বাসায় আমি আর আমার মা দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু হঠাৎ করেই আমি উধাও হতে থাকি। উধাও হয়ে আমি একটা মরুভূমির মধ্যে এককোনায় লুকিয়ে আছি আর সামনে আবছা আলোয় আমার নবীজিকে যুদ্ধরত অবস্থায় দেখি (সুবহানাল্লাহ) কিন্তু উনার মুখ আমি দেখতে পারিনি। এরপর দেখি সেখান থেকে আমি আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসি এবং বাসার পাশে অনেক বড় ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে আমি তা জানালা দিয়ে দেখতে গেছি তখন একজন হুজুর এসে আমাকে বলছে তুমি নিয়মিত নামাজ পড়, পর্দা কর। তারপর আমার ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দিন খবর আসে আমার শশুরবাড়ির লোকেরা বিয়েতে রাজি হয়েছে।তারপর আমাদের বিয়ে ঠিক হয়।কিন্তু বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে নানান কথা শোনাতো, বিভিন্নভাবে অপমান করতো, খোচাখোচি করতো, যা মুখ বুঝে সহ্য করতাম। এরপর থেকেই আমি নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করি তা হলো আমার আশেপাশের আত্নীয়দের জ্বীনে ধরতো আমি আয়াতুল কুরসি পড়তাম কিন্তু বারবার আয়াতুল কুরসি ভুল হতো। এই স্বপ্ন আমি বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেও দেখতাম কিন্তু বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বেশি দেখি। বার বার দেখতাম কাউকে বা আমার নিজেকে জ্বীনে ধরেছে আমি আয়াতুল কুরসি পড়তে গেলেই ভুল হয় পরে অনেকবার পড়লে ঠিক হয়। তারপর আমি কিছুদিন সারাক্ষণ আয়াতুল কুরসি পড়ার চেষ্টা করি এরপরে অনেকদিন আর এই স্বপ্ন দেখিনি। তারপর আমার ফোনে বিয়ে হয় ২০২১সালে। তাতেও আমার শাশুড়ী রাজি ছিলো না। কিন্তু আমার আম্মু জানতো উনি কেমন মানুষ। তাই সবকিছু বিবেচনা করেই ফোনে বিয়ের জন্য জোর দেয়। তারপর বিয়ে হয়। বিয়ের পরও শাশুড়ী আর ননাস আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান করতো, কথা শোনাতো এর কারণ আমার স্বামী বিয়ের আগে মা ভক্ত বোন ভক্ত ছিলো। এখনো আছে। আমার বিয়ের আগে তার বোন ১৪বছর বাবার বাসায় ছিলো।স্বামী নিতে আসলেও যেতো না আমার শাশুড়ী যেতে দিতো না। তাই বিয়ের আগে আমার স্বামী/ভাসুর তার বোনের সব খরচ বহন করতো, বোন যখন যা চাইতো তা দিতো কিন্তু এখন কম দেয় তাই সেটা তারা মানতে পারতো না।এজন্য আমার সাথে খারাপ আচরণ করতো। স্বামীর কাছে নানান মিথ্যা অভিযোগ দিতো যা শুনে সে রাগ করে থাকতো কিন্তু তারপরও আমাকে অনেক ভালোবাসতো। এরমাঝে আমার ননাস তার শশুরবাড়ি চলে যায়। এরপর আমার স্বামী ২০২২ সালে দেশে আসে আসার পরদিন আমাদের সামনাসামনি আবার বিয়ের হয়। এবং ১মাস পর বড় আয়োজন করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম প্রথম সব কিছু অনেক ভালো ছিলো। তারপর একদিন আমার শাশুড়ী আমার ননাসের বাড়িতে যায়। উনি প্রায় সব সময় উনার কাছেই থাকে। তো হঠাৎ একদিন শাশুড়ী আর ননাস ফোন দিয়ে আমাদেরকে তাদের বাড়িতে যেতে অনেক জোর করে। পরে আমরা যাই। গিয়ে ২দিন থাকি পরে আবার ফিরে আসি। আসার কিছুদিন পর থেকে আমার স্বামী পরিবর্তন হতে থাকে। এর মধ্যেই আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় চলে আসে।তখন আমার শাশুড়ী আর ননাস অনেক ফোলা ফোলি করে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মিল দেখে। তাদের মনে অনেক হিংসা কাজ করে। পরে উনারা আমার গাঁয়ে হলুদে আমার পরিবারের সাথে অনেক বড় ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয় সামান্য বিষয় নিয়ে। যার ফলে আমার স্বামীও আমার পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করে। তারপর যেভাবেই হোক আমাদের বিয়েটা হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামীর সাথে সম্পর্ক আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে। ছোট ছোট বিষয়ে রাগারাগি, কথা কাটাকাটি এসব হতে থাকে। এর মাঝে আমরা বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু বাচ্চা হয় না।পরে উনি চলে যায় আবার। যাওয়ার পর কিছুদিন সম্পর্ক খারাপ ছিল পরে আস্তে আস্তে ভালো হয়। স্বামী যাওয়ার পর আমি আবার সেই জ্বীন সংক্রান্ত স্বপ্নটা আবার দেখা শুরু করি।পরে একদিন দেখি আমি একটা অচেনা যায়গায় গেছি ওইখানে একটা বৃদ্ধ লোক অনেক সুন্দর দেখতে লম্বা চৌরা, অনেক ফর্সা, মাথায় পাগরি উনি আমাকে দেখে বলছে তোর জ্বীনের সমস্যা আছে আমি তোকে ঠিক করতে পারবো এমন কিছু সঠিক মনে নেই।পরে উনি আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাছ ফালাক পড়ে আমাকে শরীরে ফু দেয় পরে আমি চলে আসছিলাম হয়তো তখন মনে পরে যে উনি সূরা নাস পড়ে নাই।তখন আমি উনাকে অনেক খুজি কিন্তু পাইনি।পরে আমিই হয়তো সুরা নাস পড়েছিলাম মনে নাই।
আবার আমার স্বামী থাকতে একদিন স্বপ্নে দেখি আকাশ থেকে একটা বড় তারা আমাদের বাড়ির একটু দূরে উড়ে এসে পরে তখন আমি সবাইকে বার বার বলছিলাম আল্লাহ আমার জন্য গিফট পাঠাইছে। গিয়ে তখন তারাটা হাতে নিয়ে দেখি প্রথমেই অনেক সুন্দর করে ইংলিশে লেখা আমার নাম তারপর লেখা Pray Namaz. আরো কিছু লেখা ছিলো কি না মনে পরছে না। তারপর তারার ভিতরে হিজাব, মাথার ক্লিপ, উড়না আরো অনেক কিছু ছিলো। যাইহোক এরপর স্বামী যাওয়ার পর সবকিছু ভালোই ছিলো এই ২বছর। এর মাঝে উনি এইবছর দেশে আসে।আসার আগে আমার পাসপোর্ট, কাগজপত্র জমা দেয় আমাকে উনার কাছে নেওয়ার জন্য কিন্তু আমার ভিসা ক্যান্সেল হয়ে যায়। পরে উনি আসার পর আবারও জমা দেই। আবারও ভিসা ক্যান্সেল হয়। উনি আসার পর কিছুদিন ভালোই ছিলাম কিন্তু এইবারো উনার মা উনার বোনের বাসায় যায়, গিয়ে আমাদেরকে জোর করতে থাকে দাওয়াত খেতে যেতে।। পরে আমরা যাই। যাওয়ার পর দাওয়াত খেয়ে চলে আসি আবার। আসার ২দিন পর আমার কেমন যেন ভয় ভয় হচ্ছিলো যে খারাপ কিছু হবে আর স্বামীর উপর শুধুই অনেক রাগ হচ্ছিলো কারণ উনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে রাতে বাসায় ফিরতে দেরি করছিলো। তখন আমার অনেক অস্থির লাগছিলো তাই আমি এশার নামাজ পড়ে ১বোতল পানি নিয়ে যা যা সূরা পারি সবগুলো বারবার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে পড়া পানি বানাই সেটা খাই কিন্তু তারপরও আমার রাগ কমে না,অস্থিরতা কমে না।আমার স্বামী যখন বাসায় ফিরে তখন আমি উনাকে জিজ্ঞেস করি তুমি কি মদ খাইছো? বলেই হঠাৎ করে উনাকে চড় মেরে বসি। আমি বলতেও পারবো না আমি কেন করলাম এমন। আমার মনে হইছে আমার হাত আমার নিয়ন্ত্রণে ছিলো না।।তারপর অনেক কিছু হয়। আমাদের সম্পর্ক তালাক পর্যন্ত যেতে নিছিলো কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তা হয়নি। এরপর আমি সকালে আম্মুকে বলি যে আমি ইচ্ছা করে এমন করিনি। পরে আম্মু আমার খালামনিকে এক হুজুরের কাছে পাঠায় উনি বলে আমাকে যাদু করা হইছে, এরপর আম্মু এক নিকটাত্মীয়কে বলে আরেক হুজুরের কাছে যেতে উনিও বলে আমাকে যাদু করা হইছে। পরে দুই হুজুরের কাছ থেকে আমাকে পানি পড়া, যাদু কাটানোর জন্য তদবির লেখা কাগজ এগুলো দেয়। সাথে উনারা বলে যে আমার ভিসা নাকি আমার শাশুড়ী আর ননাস ক্যান্সেল করাইছে, যাদুও নাকি তারা করছে। আমি তখন দ্বিধায় পড়ে গেলাম বিশ্বাস করবো কি করবো না।কিন্তু উপায় না পেয়ে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই আর উনারা যে যে নিয়ম বলে তা তা করি। কিন্তু তাবিজ দিতে চাইলে আমি তাবিজ মানা করে দেই। পরে উনারা পানি পড়া, কাগজে লেখা আরবি কি কি যেন দেয় তা আমি নিজে আর স্বামীকে পানিতে মিশিয়ে খাওয়াইতে বলে। তখন এসব করি। এরপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি একটু ভালো হয় কিন্তু স্বামী আমাকে ঘৃণা করে।ঠিক মতো কথা বলে না। রাতে ইচ্ছা করে দেরি করে বাসায় আসে। এর মাঝে একদিন বিকালে ঘুমিয়ে ছিলাম উনি বাসায় ছিলো না। হঠাৎ আমার শরীর অবশ হয়ে যায় আর অনুভব করি আমার পাশে কে যেন শুয়ে নাক ডাকছে জোরে জোরে। আমি নড়াচড়া করতে পারছিলাম না কিন্তু মনে মনে আয়াতুল কুরসি, সুরা ফালাক নাস পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাই। এটা আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আগের ঘটনা।
এখন বর্তমানে আমার সমস্যা হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমার প্রতি তার কোন ভালোবাসা নাই। ফোন দিলেই সেই চড় থাপ্পড়ের কথা বলে বলে আমাকে নানান কথা শোনায়। আমিও এখন আগের মতো ভালোবাসতে পারি না। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা এখনো আছে। বাচ্চা হচ্ছে না।
আমি এখন কি করবো প্লিজ পরামর্শ দিন।
পোস্ট অনেক বেশি বড় হওয়ার কারণে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। দয়া করে রাগ করবেন না।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।