সিসি ক্যামেরার সমাধান এখানে!

আপনার বাসা, অফিস এবং ব্যবসার নিরাপত্তায় সবচেয়ে সেরা পছন্দ।

খাঁটি, সুস্বাদু প্রাকৃতিক মধু ও গুড়

"আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের সঙ্গী!

টিকা ইস্যু নিয়ে কিছু অজানা কথা…

গ্লোবের টিকা (বংগভ্যাক্স) তদন্ত স্বাস্থ্য সেক্টর বদলে যাওয়ার অনুঘটক হবে

.

কোভিডের সময় যখন চিকিৎসকদের ওপর পরীক্ষামূলক এক চায়নিজ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল, তখন তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলতে আমি চ্যানেল ২৪-এর লাইভে আসি। এর আগে, সিনোভ্যাক টিকা নিরাপদ হবে কিনা, তা নিয়ে মূলধারার মিডিয়ায় আমাদের টিমের সাথে আইসিডিডিআরবি-র বিজ্ঞানীদের (মূলত বাংলাদেশি) পরোক্ষ বিতর্ক হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবাসী টিমমেটরা আমার নাম পত্রিকায় উল্লেখ করত না। 

.

এই টিমটি আমার উদ্যোগে গঠিত হয়েছিল, এবং সে সময় আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের ইমিউনোলজিস্ট বন্ধু রেজা করিম খুবই উদ্বিগ্ন থাকত, ও বায়োলজিক্স এর (যার মধ্যে টিকা সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল) নিরাপত্তার নিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা মূলত তার কাজেরই অংশ…   

.

চিকিৎসকরা এমনিতেই ফ্রন্টলাইনে ঝুঁকিতে আছেন; এরপর যদি অনিরাপদ টিকা প্রয়োগ করা হয়, তাহলে সেটি আরও অমানবিক হবে। এই চিন্তা থেকে ঝুঁকি নিয়ে জনপরিসরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

.

চ্যানেল ২৪-কে বুঝালাম, আপনারা টিকার নিরাপত্তা নিয়ে ফোকাস করুন; দেখবেন স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান বিষয়ক ইস্যুতে আপনাদের চ্যানেলের সুনাম বাড়বে। আমেরিকা ও ইউরোপের বিজ্ঞানীদের সাথে যোগাযোগ করানোর শুরুর দিকের কাজগুলো আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছিল। আমেরিকায় কীভাবে টিকা প্রদান করা হয় এবং এর এথিক্স কীভাবে মেইনটেইন করা হয় - এসব বিষয় প্রথমবারের মতো ওপেন মিডিয়ায় (চ্যানেল ২৪) আলোচনা হয়।

.

টক-শোর পরিচিত মুখ সায়ন্ত সাখাওয়াত আমার ঢাকা কলেজের বন্ধু। তাকে ফোনে অনেক বুঝিয়েছি যেন টক-শো’তে টিকার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও ফোকাস করে। সাখাওয়াতও সেটি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছে এবং আর্টিকেল লিখেছে।

.

ভোরের কাগজের সিনিয়র এক রিপোর্টারও আমার ঢাকা কলেজের বন্ধু, যিনি এখন একুশে টিভিতে কাজ করেন। তাকেও বুঝিয়েছিলাম। সে লাল কালিতে ফ্রন্ট পেজে টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। সাখাওয়াত এবং রাশেদের প্রতিবেদনে আমার মতামত ছিল। 

.

এরপর এলো গ্লোবের টিকার নাটক, #বংগভ্যংক্স । একজন ব্যক্তি প্রেস কনফারেন্সে এসে আবেগে কেঁদে ফেললেন, আর তাতে দেশের সবাই আবেগে গা ভাসিয়ে দিলেন... “আমরাও পারি... আমরা মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে পিছিয়ে নেই...” কত বড় মিথ্যা কথা প্রচারিত হতে থাকলো… মনে হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ান হয়েছে… 

সে প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্য শুনেই আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম, বলেছিলাম এটা মিথ্যা দাবি। তৎক্ষণাৎ গালির বন্যা বয়ে গেল...

মাইক্রোবায়োলজি কমিউনিটি আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করল, মিটিং করল... সিপিং গ্যাংয়ের মতো আক্রমণ করল... এর মাত্রা এতই বেশি ছিল যে অসংখ্য মাইক্রো গ্র্যাজুয়েট, সিনিয়র ও জুনিয়রদের ব্লক ও আনফ্রেন্ড করতে বাধ্য হয়েছি...

.

টিকা যেহেতু বাংলাদেশ তৈরি করছে, তাই এর বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না... এতে মাইক্রোবায়োলজির সম্মান হচ্ছে (সেই আবেগী ছেলেটিও আমাদের ঢাবি’র মাইক্রো ডিপার্টমেন্টের)... এটা কি কোনো যুক্তি হলো? আমেরিকার প্রবাসী বিজ্ঞানীরাও (একাডেমিক, যাদের বায়োটেক ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো অভিজ্ঞতা নেই) গ্লোবের টিকা ইস্যুতে হয়ে উঠলেন ‘বক-বিজ্ঞানী’… হতভম্ব হওয়ার মতো ব্যাপার…। এ থেকে বোঝা যায় আমরা কতটা আবেগপ্রবণ…

.

সেই সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট লেগেছিল যখন আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলো... কয়েকদিন শকড ছিলাম এই একটি ঘটনায়; মনে হয়েছিল যেন আদরের ছোট ভাই মারা গেছে…কয়েক মাস লেগেছিল স্বাভাবিক হতে… 

.

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে টিকার নিরাপত্তার বিষয়ে যদি চুপ থাকি, তবে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবো? এখানে ভুল টিকার কারণে দেশের মিলিয়ন মিলিয়ন সুস্থ মানুষ একসাথে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে… টিকার নিরাপত্তা এতটাই সংবেদনশীল বিষয়… এখানে কোনো শর্টকাট নেই… এথিক্সের ছাড় নেই…

.

গ্লোবের টিকা ইস্যু নিয়ে তদন্ত হলে দেশের স্বাস্থ্য সেক্টর আমুল পরিবর্তন হতে পারে…।  


চলমান টিকা নিয়ে ভিডিও বার্তা

https://fb.watch/vy3VSb6BBo/


ড মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.