সিসি ক্যামেরার সমাধান এখানে!

আপনার বাসা, অফিস এবং ব্যবসার নিরাপত্তায় সবচেয়ে সেরা পছন্দ।

খাঁটি, সুস্বাদু প্রাকৃতিক মধু ও গুড়

"আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের সঙ্গী!

দ্রুত বীর্যপাত?


বিরাট এক গবেষণার প্রয়োজন এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে! 

যুবকদের ভয়ের শেষ নেই, বিয়ের পর নারীর অতৃপ্তির প্রধান কারন এই দ্রুত বীর্যপাত!


যদি আপনি যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেন কোন রোগীর সংখ্যা বেশি উনি চোখ বন্ধ করে বলে দিবে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা নিয়ে রোগীরা বেশি আসে! আর দিন দিন এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে! বর্তমান যুগে নেটের সুবিধা যেমন আছে অসুবিধার মধ্যে বেশি পর্ণ সিনেমা আসক্ত হয়ে হস্তমৈথুন অতিরিক্ত করে এই সমস্যাগুলো কে তীব্র করছে এবং পরবর্তীতে এরা মানসিক ভাবে দারুণ ভাবে ভেঙে পড়ে!


সহজ করে যদি বলা হয় দ্রুত বীর্যপাত কি?

তা হল স্ত্রীর যৌনতৃপ্তির আগেই স্বামীর বীর্যপাত হয়ে যাওয়া বা মিলন শেষ করে দেওয়া!


এটার সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া মুশকিল কেননা এক এক দম্পতির চাহিদা, ইচ্ছা এক এক রকম।


কেউ ৫ মিনিটে কেউ ১০ মিনিটে আবার কারও ৩০মিনিট কারও কারও ১ ঘন্টাও লাগতে পারে এতে আপনার কোনটা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই!


এটা রহস্যময় জগৎ কূল কিনারা খুজে পাবেন না!


স্ত্রীর অর্গাজম অবধি নিজেকে ধরে রাখতে পারলে আপনি আসল পুরুষ ( সেটা যেকয় মিনিট ই লাগুক)


নারীরা সাধারণত পুরুষের তুলনায় দেরিতে উত্তেজিত হয় এবং তাদের এটা প্রশমিত হতেও বেশ সময় লাগে!ফলে যে সমস্ত পুরুষের দীর্ঘদিনের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা তাদের সঙ্গী মোটেও অর্গাজমের স্বাদ পাইনা! 


আবার অনেক নারীর এটা সহজে হয়না আবার হলেও বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার যা অনেক পুরুষের জন্য ঐ লেবেল পর্যন্ত যাওয়া শুধু স্বপ্ন! দীর্ঘদিন ধরে নারীর চাহিদা আর পুরুষের ব্যর্থতা চলতে থাকলে সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হয়!আর যারা প্রথম থেকে ফোরপ্লে এড়িয়ে চলে তাদের সমস্যা আর একটু বেশি হয়! মিলন টা হয় বিরক্তিকর, এড়িয়ে চলার মতো!


দ্রুত বীর্যপাত যদি কারও শারীরিক কোন কারনে না হয়! মানসিক অবস্থাও ঠিক থাকে এবং লিঙ্গের সংবেদনশীলতা ও তেমন সমস্যা নেই, হরমোনাল ভারসাম্য ঠিক আছে তাহলে সমস্যা কোথায় বলুন তো??


উত্তর ঐ যে আপনি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় যৌবনের শুরুতে নিজের উপর যে অত্যাচার করেছেন সেখান থেকে আপনার লিঙ্গ বীর্যপাতে ধীরে ধীরে সময় কমিয়ে এনেছে যা আপনার একদিনে এমন হয়নি!( যদিও এটা মেডিকেল সাইন্স এখন পর্যন্ত এটার সাথে একমত না তবে বেশিরভাগ রোগীর অভিজ্ঞতা, চিকিৎসা পরিসংখ্যান এটাই বলছে)


যারা কখনও হস্তমৈথুন করেনি তারা প্রথম মিলনে বেশির ভাগ ই ভালো সময় পাই এবং আর যারা প্রথম হস্তমৈথুন করেছে তারাও তাদের প্রথমদিকে ভালো সময় পেতে! ক্রমাগতভাবে এটা খারাপের দিকে চলে আসে! কারন একটা কিশোর, তরুন এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত থাকে না শুধু ক্ষনস্থায়ী আনন্দটায় পেতে মরিয়া থাকে ঐ মূহুর্তে গোনাহের কথা স্মরণ থাকে না! এটা থেকে বাঁচার উপায় হলো সঠিক সময়ে বিয়ে করা এজন্য অভিভাবকদের বিয়ের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে!


বিয়ের প্রথমদিকে এবং সর্বদায় স্ত্রীর প্রয়োজন অনুযায়ী বীর্যপাত বা সংবেদনশীলতাকে বারবার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে


বলা হয়ে থাকে মিনিমাম পাঁচবার আটকানোর চেষ্টা করুন, বের হওয়ার উপক্রম হলে থেমে যাওয়া এভাবে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে যথেষ্ট সাহায্য করবে! ( যদিও অনেকের জন্যই কঠিন যারা অতিরিক্ত আবেগি তাদের জন্য কিছু মেডিসিন প্রয়োজন)



আর একটা ভূল মিলনের শুরুটা রকেটের বেগে শুরু করা, এতে ও আপনার সমস্যা কখনও সমাধান হবে না! যারা ধীরগতি কে পাত্তা দেয়না তাদের ফলাফল জিরো( অভিযোগ আসে বেড পার্টনার তো মোটেও রাজি না তখন আপনার কর্তব্য তাকে বুঝিয়ে রাজি করানো)

যাদের যথেষ্ট উত্তেজনা ভালো লাগে,নিয়ন্ত্রণ করতে ইচ্ছে করে না তাদের জন্য এটা চ্যালেন্জিং হয়ে যায়! 


দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা শারীরিক, মানসিক, লিঙ্গের সংবেদনশীলতার জন্য হয়ে থাকে এবং কারও কারও এগুলোকে ছাড়িয়ে সবার উপরে থাকে আবেগ উদ্বেগ!! ভাবা যায়? অনেকেই এটাকে মেনে নিতে চাই না তবু বাস্তবতা এটাই! এটা নিরব ঘাতক যে আপনার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে আপনি সেটা বুঝতেই পারছেন না যেটাকে বলে অবচেতন মন! 


আপনার চিন্তা,দর্শন,শিক্ষা, কাজ,কথা বার্তা,মেলামেশা,বন্ধু বান্ধব, টাকা পয়সা,অর্জন,সাফল্য এগুলোর সমন্বয় ই হলো আবেগ! 


মজার বিষয় হলো যখন যৌনতা এবং যৌন সম্পর্কের উপর এই আবেগ প্রভাব বিস্তার করে বসে কতৃত্ব করছে মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাতের মাধ্যমে আপনার মনকে হালকা করছে ( আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দিচ্ছে) 


উদাহরণ হিসেবে কিছু ছাত্র ভয়ে, শংকায় পরীক্ষা হলে তাড়াহুড়ায় মানসিক চাপ না নিতে পেরে বীর্যপাত করে দেয় ( এমন রোগী ও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়)


দ্রুত বীর্যপাতের মাধ্যমে বা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বীর্যপাত হলে সাধারণত অর্গাজমের প্রকৃত সুখ বা আনন্দ পাওয়া যায় না!এই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে একটা পুরুষ কে হতাশায় নিমজ্জিত করে দেয়! তার সবকাজ কর্মে এর বাজে প্রভাব পরিলক্ষিত হয়! পরেরবার মিলনে আপনি আরও দ্রুত বীর্যপাত করে দিচ্ছেন! 


একটু খেয়াল করলে দেখা যায় মানসিক দৃঢ়তা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নিজেকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে,যেটা চাচ্ছে সেটা করেই ছাড়বে,এরা অনেক ক্ষেত্রে দারুণ ভাবে সফল!


অনুশীলনের মাধ্যমে কিভাবে সময় নিয়ন্ত্রণ করবেন পরবর্তী বিস্তারিতভাবে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। 


দ্রুত বীর্যপাত নিয়ে আর ও বিস্তারিত লেখা চলবে...


আপনার ভালো লাগলে কমন্টে জানাতে পারেন




Dr SR khan

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.