পুরুষের ফিতরাত হলো - সে এক নারীতে সন্তুষ্ট হবে না৷
নারী জাতির ব্যাপারে তার আকর্ষণ সব সময় থাকবে৷।
এভেন স্ত্রী যতই সুন্দরী হোক, ফিতরাতগত ভাবে সে অন্য নারীর দিকেও আকর্ষণ অনুভব করবে।
এজন্য আল্লাহ বিয়র মাধ্যকেই এই হালাল কে জায়েজ এবং একই সাথে কঠিন করে দিয়েছেন। কঠিন কীভাবে?
- বিয়ের খরচ, দেনমোহরের খরচ
- আমৃত্যু ভরণ পোষণ এর খরচ
- তার পেছনে সময় ব্যয় ইত্যাদি
- সাংসারিক পেরেশানি
স্ত্রী বাদে কাউকে পছন্দ হলে, সখ্যতা গড়তে চাইলে তাকেও স্ত্রী বানিয়ে আজীবন তার দায়িত্ব নিতে হবে৷ এভাবে ৪ টি পর্যন্ত৷ নিশ্চয় আল্লাহ ভালো জানেন যে, এর থেকে বেশি একজন পুরুষের স্ত্রী প্রয়োজন হবে না৷ যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনিই সৃষ্টি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান রাখেন৷
শয়তান বিষয়টাকে হারাম ও সহজ উপায় উতলে দিয়েছে -
পরকীয়া করো/ সে পর্যন্ত সাহস বা অনুকূল পরিস্থিতি নাহলে এমনি ঘুরাঘুরি করো বা এটলিস্ট চ্যাটিং, ম্যাসেজিং করো। নফস সন্তুষ্ট হলো। মানুষও জানলো না। আজীবন খরচ বেয়ার করতে হলো না, আজীবন সাংসারিক পেরেশানি নেই।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এর সুন্দরী স্ত্রী ও ৩ টা ফুটফুটে বাচ্চা আছে। সফল ব্যবসা বানিজ্য আছে। পুরো দুনিয়া হাতে থাকতেও সে নাফিসা কামাল এর সাথে পরকীয়াতে জড়িয়েছে।
এভেন নিউজে এসেছে যে, সে যে নাফিসা কামালের সাথে হোটেল রুম বুকিং দিত সেটা স্ত্রী শিশিরও জানতো। মেনে নিয়েছে কিংবা মেনে নেবার ভান করেছে।
সাকিব নিজে কন্যার পিতা হবার পরও অন্য কোন এক পিতার (শ্বশুর) এর কন্যাকে প্রতারণা করতে বিন্দুমাত্র ভাবেনি বছরের পর বছর ধরে।
এটার একমাত্র কারণ তাকওয়ার অভাব, 'আমাকে কেউ না দেখলেও আল্লাহ দেখছেন' এই ফিলোসফির অভাব।
এখন সাকিবের মত কুলাঙ্গারদের থেকে তো আমরা তাকওয়ার ফিলোসফি প্রত্যাশা করতে পারিনা, তাই এই আলোচনা বাদ।
এখন যদি সাকিব, নাফিসা কে বিয়ে করত?
- সবার আগে প্রেস কনফারেন্স ডেকে মামলা দিত সাকিবের প্রথম স্ত্রী শিশির
- নাফিসা কামালের মত মেয়েরা ২য় স্ত্রী হতোও না, সম্পর্ক তো শুধু উপভোগের, নফসের অবৈধ খায়েশ মেটানো
- সমাজ সাকিব কে রোস্ট করত
এজন্য আদর্শবান স্বামীর সব থেকে বড় এচিভমেন্ট হওয়া উচিৎ - স্ত্রীর মনে এই নিশ্চয়তা অর্জন করানো যে - "আমার স্বামী চরিত্রহীন না" চরিত্রহীন না মানে
- সে তো পরকীয়া করবেই না
- এমনকি পরকীয়ার আগের স্টেজ: সাধারণ সখ্যতা, উঠাবসাও সে অন্য নারীদের সাথে রাখবে না
- এমনকি সে আমাকে ছাড়া টিভির মডেল বা মুভির নায়িকা দেরও দেখবে না
একই সাথে স্ত্রীর উচিৎ স্বামীর অন্তরে এই নিশ্চয়তা অর্জন করানো - আমার স্বামী আরেকটা বিয়ে করেছে মানেই সে "চরিত্রহীন নয়, বরং চরিত্রবান"
সিংহভাগ পুরুষের ফিতরাতকে জোর করে "এক নারীতে আসক্ত" বানাতে চাওয়াটা বোকামি। হয়ত বাহ্যিক ভাবে মনে হয় ঠিক আছে, কিন্তু ফিতরাত চেঞ্জ হয় না।
বরং "কেবলমাত্র বৈধ নারীতে আসক্ত" হবার ব্যাপার টা তাকওয়া।
© Shah Muhammad Tonmoy