বর্তমান জামানায় রাষ্ট্র শাসনের চেয়েও একজন পুরুষের কাছে গৃহ পরিচালনা কঠিন।
একজন পুরুষের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনায় শুধুমাত্র ন্যায়পরায়ন এবং দরদী হলেই সবকিছু ম্যানেজ করা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু ঘরের বিষয়ে, স্ত্রী-মা-সন্তান একেকজনের দায়িত্ব কর্তব্যের সময়ে হিমশিম খেতে হয়। মহিলারা ঘরের জিনিসে রীতিমত রাজনীতি বেশি পছন্দ করে, সেটা আমি হই বা অন্য কোনো নারী।
এগুলো সত্য!
এ যাবত ম্যাক্সিমাম ঘটনায় পরিবারে নারীরা নির্যাতিত হয় অন্য নারী দ্বারা। অধিকার, আবেগ, অনুভূতি সবকিছুতে বেশি আঘাত আসে নারী পক্ষ হতেই। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক যে রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা নিজ সত্তাকে ভুলে গেছি। সংসারের এই ছোটখাটো সমস্যা আমরা জানি, শ্বাশুড়ি বৌয়ের বিভিন্ন ঘটনাও আমরা জানি, ননদ,ভাবি,দেবর,বাবা,মা,সন্তান এই সবগুলো দিক ম্যানেজ করতে একজন নারী জীবনে কতটা স্যাক্রিফাইস করে সেগুলোও জানি!
পাশাপাশি সবকিছুর ব্যালেন্স ঠিকঠাক না হলে একজন পুরুষ যে কতটা মানসিকভাবে আহত হয় সেই গল্প অনেকেরই অজানা। বা আমরা তাদের এই ত্যাগটুকু নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করি না৷
অভিভাবকদের অনেক ত্যাগ করতে হয়,পিতা বা মাতা৷ মাকে করতে হয় সন্তানের ব্যাপারে,আর পুরুষকে করতে হয় পুরো পরিবারের ব্যাপারে৷ এজন্যই স্ত্রী, সন্তান পুরুষের অধিনস্থ।
আম্মু একটা কথা বলেন, "ঘরে চাল ডাল তেল কতটুকু আনা লাগবে এই চিন্তা আমার করতে হয়না, আমি জানি আমার স্বামী আছে ইনশাআল্লাহ সব ম্যানেজ করে ফেলবে।" এই ম্যানেজ করাটাই পুরুষের কাজ,যা মোটেও সহজ না!
যার বাবা আছে কিংবা স্বামী আছে, সে সুখী!
তা যে হালতেই থাকুক।
সন্তানের ক্ষেত্রে যেমন মা মা মা এবং বাবা৷
তেমনি দায়িত্ব,সংসার কিংবা সিদ্ধান্তের অধিনায়ক হিসেবে একজনই সিলেক্টেড, সেটা "পুরুষ"। নারীরা কাঁদতে পারলে পুরুষদেরও অধিকার আছে চোখের পানি ফেলবার। ত্যাগ উভয়ই করে,এরপরই এ সুন্দর পৃথিবী।
এটাই মূলত ইকুয়ালিটি। এটাই ইসলাম!
#পুরুষআমারপিতা
#পুরুষআমারস্বামী
#পুরুষআমারসন্তান
#আশফিকানওশিন