স্ত্রীদের বীর্যপাত (Squirting) আর অর্গাজম কি একই জিনিস???
উত্তর না।
যৌনি ভিজে রসে টইটম্বুর হয়ে যাওয়া মানে এই নয় যে এটা তার চরম পুলক এটা যৌন মিলনের ২য় ধাপ। আজ শেষ ধাপ অর্থাৎ ফিমেল ইজাকুলেশন নিয়ে কিছু ধারনা দিবো।
যৌনতা একটা শিল্প। এই শিল্পটির সার্থকতা তখন ই যখন স্বামী স্ত্রী দুইজনেই পরিপূর্ণ যৌনসুখ লাভ করে থাকে, কারও কোন কমতি থাকে না। স্ত্রী যতটুকু সময় স্বামী কে একান্ত করে পেতে চাই,তার অর্গাজমের পরিপূর্ণ এনে দেয়, আর স্ত্রীও স্বামীকে যথেষ্ট পরিমানে উত্তেজিত করে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেয়, বিছানায় নিতর ভাবে পরে রইলে, কখনোই স্বামীর চরম পুলক আসবেনা। যৌন শিল্পকে ভালমতো রপ্ত করে দুজনে যখন পরস্পরকে খুশি করতে চাইবে, নিজেদের সমস্ত চেষ্টা ঢেলে দিবে পুলকলাভের জন্য, কারও দূর্বলতা কেউ কখন ও উপহাস করবে না।
এটা সত্য যে নারীর চেয়ে পুরুষের ভূমিকাই বেশি নারীর অর্গাজমের জন্য। আর অর্গাজম তো সেটাই যেখানে নারীর যৌন সুখ শতভাগ লাভ করে থাকে, এরপরে আর নারীর যৌনসুখের জন্য মনখারাপ করবে না, পুরুষের প্রশংসা না করে আর পারবে না, স্বামীকে বারে বার কাছে পেতে চাইবে, দেখা যাবে স্বামীই তার ডাকে সাড়া দিতে গড়িমসি করসে।
নারীকে শুধু জাগিয়ে দিন তারপর আপনাকেই সে খুজে নিবে, কাছে টেনে নিবে,তার মধ্যে যে ভাললাগার বিষয়গুলো আছে, সেটিকে বের করে,তাকে জানান দিন, সে অবাক না হয়ে আর পারবে না,অধিকাংশ পুরুষ ই সেই লুকানো আবেগ বুঝে না, আর স্ত্রীরাও যৌনমিলনে পুরুষকে যথাপোযুক্ত সহায়তা করতে চাইনা, ফলাফল অস্তিত্বকর এক অনুভূতি নিয়ে শেষ হয়ে যায়, কারও সমস্যা থাকলে সেটা সমাধানের জন্য ও চিকিৎসা করতে দারুণ লজ্জাবোধ করে থাকে, এভাবেই দিন দিন অতিবাহিত হয়, আর যারা চিকিৎসা নিতে আসে তারাও একবার দুইবার চিকিৎসা নিয়ে হতাশ হয়ে যায়, রাতারাতি ফল আশা করে, সমস্যা যদি হয় দীর্ঘদিনের তাহলে এর থেকে মুক্ত হতেও একটু সময় লাগবেই,চিকিৎসকরা কখনোই প্রথম দেখায় ডোজ
বৃদ্ধি করবে না, আর এক এক জনের এক এক ঔষধ দরকার হতে পারে,সেই জন্য সময় নিয়ে চিকিৎসা নিলে ভাল ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
যদি স্ত্রী চাই তার যেন স্কার্টিং( squirting?) হোক, অর্থাৎ যৌন পুলকের চূড়ায় উঠতে তাহলে স্বামী কে সহায়তা করতে হবে, আর ধর্য্যে নিয়ে যৌনমিলন করুন, এটার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা থাকা চাই, ইউরোপ আমেরিকাদের স্কাইর্টিং হলে বাঙালি নারীর ক্ষেত্রে বিরল, সেটা শুধুমাত্র না জানার কারনে।
কয়েকটি জিনিস অস্ত্র হিসাবে পাশে রাখুন, ভাল লুব্রিকেন্ট, টাওয়াল, লিডোকেইন জেলি, ম্যসেজ অয়েল আর সময়।
১) বিশেষ একটা উপহার দিন তারপর স্ত্রী কে আগে থেকে বলে রাখুন আজ ওমুক সময়ে হবে,,,,,রুমের পরিবেশ শান্ত শিষ্ট, সাথে সুগন্ধি রজনী গন্ধা ফুল রাখুন, স্ত্রীর জন্য বিশেষ পোশাক কিনে দিন,আগে হালকা রোমান্টিক গল্প দিয়ে শুরু করুন,কথা আর ভালবাসায় সিক্ত হলে,, স্ত্রীকে ২০- ৩০ মিনিট ধরে ফোর প্লে করে নিতে হবে, আর স্ত্রীও যেন স্বামীকে তার ভালবাসা উজার করে দেয়।
২) স্ত্রীর কম উত্তেজিত জায়গায় আগে আদর করুন,ধীরে ধীরে বেশি উত্তেজিত জায়গায় যেতে হবে।
৩) জি স্পোট আর ক্লাইটোরিসে মেসেজিং করুন ( ক্লাইটোরিস নারীর যৌনি পথের উপরের দিকে যৌনি কপাট দিয়ে ঢাকা থাকে,ছোট সিমের বিচির মত,অনেকগুলো নার্ভ একসাথে একত্রিত হয়েছে, যা পুরুষের লিঙ্গের থেকেও বেশি সেনসেটিভ জায়গা,ঠিক এর নিচে উপরের দিকে আধা ইঞ্চি ভিতরে জি স্পট অবস্থিত)
৪) ব্রেস্ট স্টিমুলেশন দিন,নিপল চুষুন,,,কখনোই ব্যথা দিবেন না। যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা আছে তারা সহবাসের আগেও পরে ২ টা ডিম আর দুধের মিশ্রন খেয়ে নিন, আর ২য় বার সহবাসে বেশি সফল হবেন।
৫) যদি স্ত্রীর যৌনি যখন ভিজে যাবে, তখন ১০-১ টেকনিকে লিঙ্গ প্রবেশ করান, বীর্যপাত ধরে রাখুন, তারপর লিঙ্গ বের করে স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দুই আঙ্গুলে লুব্রিকেট নিয়ে জি স্পট বরাবর ম্যসেজ দিন , ধীরে ধীরে শুরু করুন, আস্তে আস্তে গতি বৃদ্ধি করুন, তবে স্ত্রীর সামান্য ব্যথা লাগতে পারে, তবে ঘাবড়িয়ে যাবেন না, প্রসাবের বেগ অনুভব হলে বুঝতে হবে আপনি খুব কাছাকাছি সময়ে চলে এসেছেন,কন্টিনিউ করতে থাকলে অর্থাৎ নিপল স্টিমুলেশন, ক্লাইটোরিস স্টিমুলেশন, লিঙ্গ প্রবেশ,জি স্পটে লাগাতার স্টিমুলেশন দিলে মোটামুটি ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই স্ত্রীর স্কাইর্টিং( Squirting) হয়ে যাবে,যা কখনোই হয়নি, যা আগে বিশ্বাস ই হতো না, এটা যে সম্ভব যারা সফল হবেন তাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
আর যাদের হয়েছে তারা ইনবক্সে শেয়ার করতে পারেন।
-ডা এস আর খান