সেক্সুয়াল সিডাকশন (Sexual Seduction)
যৌন প্রলোভন যা শুধুমাত্র স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই বৈধ আর বাকিটা অন্য নারী কে বা পর পুরুষ কে চিন্তা করা হারাম।
স্ত্রী শুধুমাত্র তার সৌন্দর্য স্বামীর কাছেই প্রকাশ করবে,অন্য পুরুষের কাছে প্রকাশ করবে না, স্বামীর জন্যই তাকে সাজতে হবে, অন্য কারও জন্য নয়। এতে দুনিয়ায় কিছু লাভ আছে,স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মোহাব্বত দৃঢ় হবে, দুজনের প্রতি দু'জনের শ্রদ্ধাভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে, সংসারটা মজবুত হবে, মনে শান্তি লাভ করবে।
পুরুষ যদি কুদৃষ্টি দিয়ে পর নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয় এতে করে তার যৌন শক্তি দূর্বল হয়ে যায়
কিভাবে???
★ সহজ উত্তর খুব আস্তে আস্তে নিজের স্ত্রীর প্রতি আকর্ষন হারিয়ে ফেলে, শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমতে থাকে, উৎপাদনের হার কমে যায়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে পাশ্চাত্য সভ্যতার উলঙ্গদের তো অনেক সেক্স, তাহলে কেমনে কি?
উত্তর, উনারা ছোট বেলা থেকেই খোলামেলা পরিবেশে চলতে অভ্যস্হ। যার তার সাথে স - ইচ্ছায় যৌনমিলনে লিপ্ত হতে পারে। নারী পুরুষ দুজনেই রাজি থাকলে কোন অপরাধ ই না,নাই কোন লজ্জা, নাই কোন ভয়, সংকোচ কাজ করে না, মনে অপরাধ বোধ কাজ করে না,কাউকে জবাবদিহি করতে হয়না।
শেষ কথা তারা রবকে ভয় পায়না
স্ত্রী কে তার স্বামীর মন খুশির জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
★স্বামী কি খেতে পছন্দ করে?
★ কোন ধরনের কথা শুনতে বেশি ভালোবাসে, বিছানায় কিভাবে আপনাকে চায়?
এমন ভাবে লাজুকতার সাথে চলা উচিত যেন আকর্ষনীয় লাগে দেখতে,যৌন আকর্ষন বৃদ্ধি পায়, এই দিকটা স্ত্রীদের খেয়াল রাখতে হবে। নরমাল ই যদি চলেন,আর স্বামী আপনাকে সব সময় কাছে টানবে,এমনটা আশা করা ঠিক না। স্বামীর কাছে নিজেকে নতুন নতুন করে উপস্থাপন করলে
আশা করি যৌনমিলন আগের থেকে বেশি করে উপভোগ করতে পারবেন, একঘেয়েমি দূর হবে।
সেক্সুয়াল সিডাকশন বা যৌনপ্রলোভন দেখিয়ে মাঝে মাঝে স্বামী কে অবাক করে দিন,ডাইরেক্ট ভাবে না গিয়ে, ইশারা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিন,আপনি কি চাচ্ছেন,আর স্বামীর ঘুমন্ত যৌন বাসনা কে জাগিয়ে দিতে হবে,স্বামীর ইচ্ছে করছে না, কিন্তু আপনার কথা শুনে,পোশাকে, চাহনিতে যৌন মিলন না করে আর থাকতে পারছে না,এভাবে যদি ক্রমাগত চালিয়ে যেতে পারেন,পুরোপুরি যৌনমিলনের পরিপূর্ণতার স্বাদ পেতে থাকবেন,সামনের দিনগুলো আরও সুন্দর হবে,যা আগে মিস করেছেন।
পুরুষ সেক্সুয়াল সিডাকশ বা যৌন প্রলোভনঃ
নিজের স্ত্রীর মন ভালো নাই, ইচ্ছে করছে না,বা বিরক্ত হচ্ছে। যদি বলেন, সরাসরি আপনি যৌন মিলন করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার স্ত্রী দিতে বাধ্য যদিও সে নফল ইবাদতে ব্যস্ত থাকে।
তবে কথা কিন্তু থেকেই যায়, তার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে আপনি নিজের চাহিদা পূরন করলে সেই যৌনমিলনের পরিপূর্ণ যৌনসুখ লাভ হবে না। শুধুমাত্র আপনি নিজেকে শান্ত করলেন,পরবর্তীতে আপনাদের যৌন মিলনে ধীরে ধীরে অনিহা চলে আসবে,কেউ ই উপভোগ করবেন না।
দ্বায়সাড়া ভাব হবে,পরবর্তীতে নারী পুরুষের শারীরিক মানসিক ভাবে অনেক অসুস্থতা দেখা দিবে। অন্য রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে বিশেষ করে নারীরা যাবে, পুরুষ ও যায়।কিন্ত লজ্জা শরম করে নিজেদের যৌন মিলনে যে আপনারা সুখি নন, সেই কথা না বলে, মাথা ব্যথা, মাজা ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে, শ্বাসকষ্ট, দম বন্ধ হয়ে যাওয়া, ভাল না লাগা, ডিপ্রেশনে থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি বলবে।
চিকিৎসক ও সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিবে কিন্তু রোগীর সমস্যা গুলো সমস্যায় ই থেকে যাবে, সমাধান আর পাবে না। যৌন মিলনে পরিপূর্ণ সুখ পেলে যে শত শত উপকার পাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেই জানে না!!
পরবর্তী কোন এক পোস্ট সফল যৌন মিলনের উপকারিতা তুলে ধরা হবে।
যৌন মিলনে আনন্দঘন করার জন্য অনুরোধ রইলো স্ত্রীকে জোরাজোরি না করে কৌশলে নিজের দিকে আকর্ষন করান।
এমন ভাবে শুরু করুন,সে যেন ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও পরবর্তীতে নিজের ইচ্ছায় সে আপনার কাছে নিজেকে সপে দেয় দুজন দুজনে একান্ত সময় কাটাতে পারবেন, পরিপূর্ণ যৌনসুখ লাভ হবে ইনশাআল্লাহ।