সিসি ক্যামেরার সমাধান এখানে!

আপনার বাসা, অফিস এবং ব্যবসার নিরাপত্তায় সবচেয়ে সেরা পছন্দ।

খাঁটি, সুস্বাদু প্রাকৃতিক মধু ও গুড়

"আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের সঙ্গী!

পর্ণ/মাস্টারবেশন মুক্তি মিলবেই ইনশাআল্লাহ


চার্লস ডুহিগ তার বিখ্যাত বই “The Power of Habit” এ আলোচনা করেছেন কীভাবে একটি কাজ আমাদের অভ্যাসের অংশ হয়ে দাঁড়ায় এবং সেই অভ্যাস ক্ষেত্রবিশেষে এক সময় আসক্তিতে পরিণত হয়। একটা অভ্যাস গড়ে ওঠার পেছনে তিনটি ধাপ কাজ করে।

১. ট্রিগার
২. রিওয়ার্ড
৩. লুপ বা রুটিন

.
প্রথমে একটি ট্রিগার আমাদের কাজটি করতে আগ্রহী করে। পর্নের ক্ষেত্রে এ ট্রিগার হতে পারে এমন কাজ যা আমাদের বায়োলজিকাল চাহিদা বা আকর্ষণকে জাগিয়ে তোলে। হতে পারে রাস্তায় চলতে গিয়ে কোনো সুন্দরী মেয়েকে দেখা কিংবা অলরেডি যে পর্ন দেখে অভ্যস্ত তার ক্ষেত্রে দেখা যায় রুমে একাকিত্ব কিংবা স্রেফ মোবাইলও ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে।
.
এরপর ট্রিগার ফলো করে কাজটা করে ফেললে আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন নি:সরণ করে সুখানুভূতি দেয় যা রিওয়ার্ড হিসেবে কাজ করে। এরপর এই প্রক্রিয়াটাই দীর্ঘদিন রুটিন বা লুপ আকারে পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে এক সময় অভ্যাস বা এডিকশনে রূপ নেয়।
.
এডিকশন থেকে বেরোনোর জন্য দরকার ট্রিগারকে অকেজো করা। এজন্য পর্ন দেখার পথগুলো আইডেন্টিফাই করে বন্ধ করতে হবে। খুব বেশি এডিক্টেড হয়ে গেলে ক্লিনিকালি প্রেস্ক্রাইবড ওষুধ খেয়ে আকাঙ্ক্ষাগুলো ডিসেনসেটাইজ করারও দরকার হতে পারে। এভাবে ১২০ দিনের মত সময় পর্ন বা কোনো অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে পারলে সেই অভ্যাসের শেকল ভেংগে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।
.

আপনাকে সব ট্রিগার (যা পর্ন দেখতে বাধ্য করে) মোকাবেলা করা শিখতে হবে। এটা একদিন দুদিনে সম্ভব না। দরকার সময়, ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তি। খালি ঘর যদি আপনার জন্য বিয়ের আগে ট্রিগার হয়ে থাকে তা বিয়ের পরও ট্রিগার থাকবে যদি আপনি এ পরিস্থিতি আগে থেকে মোকাবেলা করার অনুশীলন না করে থাকেন।

তাই ট্রিগারগুলো খুঁজে বের করুন। কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। ট্রিগারগুলো যত বেশি এড়িয়ে যেতে পারবেন, আসক্তির বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান ততোই শক্তিশালী হবে। ভবিষ্যতে পর্ন দেখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আপনি নিজেকে সহজেই দমিয়ে রাখতে পারবেন।

ধরুন, আপনি আসক্তি থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন। এক মাস, দুই মাস পেরিয়ে বছর হয়ে গেল। আসক্তির ঝোঁক পুরোপুরি গায়েব। (অবশ্য এ ঝোঁক এক-দুমাস হলেই অনেকটা কেটে যায়)। কিন্তু এরপরও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। 

আসক্তি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ট্রিগারগুলো মোকাবেলা করা এবং সারাজীবন এ ব্যাপারে সচেতন থাকা।

  • আসক্তি মোকাবেলা করার ৩টি অস্ত্রঃ

  • ভাল খাবার খাওয়া: ভাল খাবার আমাদের আচরণে পরিবর্তন আনে। তাই ভাল এবং পুষ্টিকর খাবার খান এবং যে খাবারগুলো যৌন চাহিদা বাড়িয়ে দেয় সেগুলো থেকে কিছুদিন দূরে থাকুন, যেমন: লবঙ্গ, ডুমুর, ডিম, তরমুজ ইত্যাদি। গুগলে একটা সার্চ দিয়ে বাকি খাবারগুলো দেখে নিতে পারেন।

  • পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম: আগে আগে ঘুমিয়ে যান। ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করুন, সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন এবং সকালে অবশ্যই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। আপনার যদি মধ্যরাতে পর্ণ দেখার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর মাধ্যমে আপনি নিজের ব্রেইনকে পুনর্গঠন করা শুরু পারেন, এর মাধ্যমে এতদিনের সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটবে।
  • পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা: যত বেশি জানবেন, তত বেশি সচেতন হবেন। তাই পর্ণোগ্রাফির ইফেক্ট নিয়ে বেশি বেশি পড়াশুনা করুন। এর ফলে প্রতিনিয়ত আপনার ব্রেইনে সর্তকতা সংকেত যাবে এবং আপনি সহজেই মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে পারবেন।

পর্ন আসক্তি এমন এক সমস্যা যা আপনার পড়াশুনা, জব, পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধুত্ব সবকিছুতে প্রভাব ফেলে। আপনি নিজেও টের পাচ্ছেন ব্যাপারটা। কিন্তু সঠিক পদক্ষেপগুলো না নেওয়ার কারণে বার বার আপনি প্রবৃত্তির কাছে হার মানছেন। অন্য যে কোন কাজে সফলতা অর্জনের মত এক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

বন্ধু নির্বাচনঃ আপনি চান এই আসক্তি থেকে মুক্ত হতে, কিন্তু আপনার এমন কিছু বন্ধু আছে যারা সারাক্ষণ মেয়ে, ড্রাগ, পর্ন নিয়ে কথা বলতে থাকে। আপনি তাদের ভাল হবার উপদেশ দিতে পারেন। এরপরও যদি তারা ঠিক না থাকে সেক্ষেত্রে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। শুধুমাত্র যে বন্ধুরা আপনাকে এই আসক্তি থেকে বের হতে সাহায্য করবে, তাদের সাথেই চলতে হবে।
.
ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেলঃ ফেসবুকে মডেলদের পেইজে আনলাইক, ছেলে VS মেয়ে টাইপ গ্রুপ থেকে অবসর নিতে হবে। বাজে অ্যাড থেকে রেহাই পাবার জন্য অ্যাডব্লক ইউজ করতে হবে।

দৃষ্টিঃ রাস্তাঘাটে, বিলবোর্ডে আকর্ষণীয় মেয়ে দেখলেই কামনার দৃষ্টিতে তাকান যাবে না। এক্ষেত্রেও ব্রেইনে ডোপামিন রিলিজ হয়, যা পর্নের রিওয়ার্ড প্যাথওয়েতে হিট করে। ফলে যৌন সন্তুষ্টি পাবার জন্য আপনি রাস্তায় নির্লজ্জের মত একটার পর একটা মেয়ে দেখতেই থাকেন। এটাই পরে পর্ন দেখার জন্য সবচেয়ে বড় ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।

এ ব্যাপারগুলো ছাড়াও মানসিক অশান্তি, ভঙ্গুর সম্পর্ক, আত্মসম্মানবোধের অভাব, ছোটবেলায় পাওয়া কোন মানসিক আঘাত কিংবা উগ্র জীবনযাত্রা এ আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এ সমস্যাগুলো সমাধান করলে আসক্তি থেকে বের হওয়াটাও সহজ হবে।



Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. অনেককিছু শিখতে পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ।

    ReplyDelete