মেডিকেলের এনাটমি সাবজেক্টে এটাকে ক্লাইটোরিস বলে। বাংলায় ভংগাকুর ( বাংলার থেকে ইংলিশ নামটা সহজ আর বেশি কাজে লাগবে)
পোস্টে বারবার অনিচ্ছা সত্বেও শব্দটি প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহার করতে হয়। জেনে, বুঝে রাখলে বৌ এর কাজ দিবে,আর স্বামীর কাজ সহজ হবে।
নারীরা স্বামীর কাছ থেকে চেয়ে নিবেন! যদি স্বামী না জেনে থাকে!!
নারীর যৌনির উপরিভাগে, বাইরে ছোট মটরশুটির মত দানাকে ক্লাইটোরিস বলে। সামন্য অংশ বাহিরে দৃশ্যমান বেশির ভাগ অংশ ভেতরে লুকায়িত থাকে।
উত্তেজনার সময় আবরণ সরে দৃশ্যমান হয়।
এটাকে নারীর পেনিস ও বলে!!!
মজার কথা পুরুষের লিঙ্গের থেকেও দ্বিগুন সেনসেটিভ!!!
অসংখ্য স্নায়ু তন্ত্র মিশে আছে এখানে।
হালকা ম্যাসেজে নারী দারুণ ভাবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।সেক্সোলজিস্ট ড. কিনসের মতে শুধুমাত্র নারীর ক্লাইটোরিসের মাধ্যমে একজন পুরুষ সত্তর জন নারীকে অর্গাজমের সুখ দিতে পারে!!
ক্লাইটোরিস হলো যৌনমিলনের চাবি,এই চাবি দিয়েই ভেতরে প্রবেশের রাস্তা উন্মুক্ত হয়।
যারা এর সুব্যবহার ঠিকমতো করে নাই তারা নারীকে যৌনমিলনের পরিপূর্ণ সুখ দিতে পারে নাই।
নারীর তিনটা ধাপে অর্গাজম হয়!
১) ক্লাইটোরিয়াল অর্গাজম ( এটা অনেক সহজ)
২) জি স্পটে অর্গাজম ( মুটামুটি কঠিন)
৩) যৌনপথের অর্গাজম ( যাদের দ্রত বীর্যপাত হয় তাদের জন্য ধরাছোঁয়ার বাইরে)
জি স্পট ( G spot)
জার্মান বিজ্ঞানী গ্রাফেন বার্গের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়।
জি স্পটকে হট স্পট ও বলা হয়।
কোথায় এর অবস্থান??
নারীর যৌনির ভেতরে উপর বরাবর আধা ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি দূরে প্রসাব থলির নিচ বরাবর চারপাশ জুড়ে থাকে।
এর কাজ কি??
পেনিস দিয়ে ঠিক মত এই জায়গায় উত্তেজনা দিতে পারলে খুব সহজেই নারী প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পরে।
উত্তেজনার এক পর্যায়ে নারী প্রসাবের মতোই চাপ অনুভব করে, সাথে কিছুটা ব্যথা অনুভব করে,সবকিছু সত্ত্বেও সহবাস চালিয়ে যেতে পারলে নারী নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পানি ছেড়ে দিয়ে নিজে সতেজ আর উৎফুল্ল অনুভব করে পরবর্তীতে ক্লান্তিতে ফ্রেশ, সাউন্ড স্লিপিং এ চলে যায়।
কিভাবে জি স্পটে উত্তেজনা দেওয়া যায়?
এক এক দম্পতির লিঙ্গের সাইজ শেপ,যৌনির গঠন তন্ত্র ভিন্ন হওয়ার কারনে নিজেররাই বিভিন্ন পজিশনে চেষ্টা করে বুঝে নিতে হবে,ঠিকমতো জায়গায় উত্তেজনা হচ্ছে কিনা? মানে শরীরে এক অন্য রকম যৌন সুখ দিবে, বেশি মাত্রায় উত্তেজনা পৌছালে নারী প্রসাবের মতো অনুভব করবে!!
লিঙ্গ দিয়ে কঠিন মনে করলে নারীর অনুমতি সাপেক্ষে স্বামী ফিঙ্গার দিয়ে কাজটা সহজে এগিয়ে নিতে পারে।
উপকারিতা!!
নারীর শারীরিক মানসিক ভাবে প্রফুল্ল সজীব থাকবে।মাজা ব্যথা, কোমড় ব্যথা দূর হবে,মেজাজ খিটখিটে হবেনা,পুরুষকে বারবার যৌনমিলনের জন্য আহ্বান করবে।
আর পুরুষের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।নিজেকে আসল পুরুষ হিসেবে মনে করবে।
Shamsur Rahman Khan